• Recently Post

    পাহাড় অথবা পর্বতে আরোহনের চেয়ে অবতরণ কেনো কঠিন ?

     

    Why is descent more difficult than climbing a mountain?
    ছবিঃ Travel with Ozil

    ক্লান্ত পেশী :

    পায়ের পেশীগুলি আরোহণের সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং পরে এই ক্লান্ত পা ব্যবহার করেই অবতরণ করতে হয় । ইতিমধ্যে যদি আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন তাহলে আপনার পড়ে যাওয়া অথবা চলতে না পাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ।

    নিজের সীমা অতিক্রম করা :

    সবারই শীর্ষে পৌঁছানোর প্রবল তাগিদ থাকে, তাই তারা প্রায়শই গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য তাদের সীমা ছাড়িয়ে যায়। এবং সেই চেষ্টায় তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু যখন চূড়ায় পৌঁছানো হয় , তখন সেটি আরোহণের মধ্য-বিন্দু মাত্র। যা অনুসরণ করে তা হল অবতরণ, যা সমানভাবে ক্লান্তিকর এবং চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। যদি ইতিমধ্যেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে থাকেন তাহলে অবতরণের সময় আপনি নিজের শরীরকে অনেক কষ্ট দিতে পারেন।

    পতনশীল দূরত্ব এবং গতি:

    যদি আরোহণের সময় পড়ে যান, সম্ভবত তুলনামূলকভাবে কম দূরত্ব যেয়ে পড়বেন এবং গতিও কম থাকবে। কারণ পাহাড়/পর্বতই আপনাকে পড়া থেকে বিরত রাখবে। কিন্তু আপনি যদি নামার সময় পড়ে যান, তাহলে আপনি নিচে আঘাত করার আগে আপনার সামনের পতন অনেক দীর্ঘ হবে এবং গতিও অনেক বেশি থাকবে। আর যদি খাড়া হয় তাহলে গতির পাশাপাশি পতনও দীর্ঘ হবে। সুতরাং, নামার সময় আপনার সামনের পতন সম্ভবত আরও বিপজ্জনক। আরও বেশি গতিতে বেশি দূরত্বে পড়ে যাওয়া এবং আরও নীচে নামলে একাধিক আঘাতের সম্মুখীন হতে হবে।

    আরেকটি কারণ হল দৃশ্যমানতা :

    আরোহণের সময়, একজন পর্বতারোহী সাধারণত পরিষ্কারভাবে দেখতে পান যে তিনি কোথায় যাচ্ছেন এবং সর্বোত্তম গ্রিপের জন্য পা কোথায় রাখবেন। কিন্তু একটি খুব খাড়া পাহাড়ে একটি অবতরণ প্রায়ই আপনার পরবর্তী ধাপ কোথায় অবতরণ করবে তা দেখা কঠিন করে তোলে। এর মধ্যে অনেকগুলো কারণ আছে : অনেক সময় ফিরতে দেরি হওয়াতে অন্ধকার হয়ে যায় ,আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়। শরীর ক্লান্ত থাকায় এবং ক্ষুধাতে সব কিছু ঝাপসা দেখতে থাকা ইত্যাদি।

    আরেকটি ফ্যাক্টর হল ভারসাম্য:

    আরোহণের সময় আপনার পায়ের আঙ্গুলগুলিতে পা রাখা আপনাকে আপনার শরীরের বাকি অংশে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দুর্দান্ত সহযোগিতা করে । কিন্তু অবতরণের জন্য আপনার হিলের উপর পা রাখলে আপনি কোনো ভুল সংশোধন করতে বা নিচের দিকের স্লাইড থামাতে কম সহযোগিতা পাবেন।

    করণীয় :

    ১.প্রোপার একলিমাইসড হওয়া।
    ২. আস্তে ধীরে হলেও হাটতে থাকা , না থেমে আরোহনের সময়।
    ৩. স্টেপিং , রিদম , পেস ঠিক থাকা ( এইটা প্রাকটিস করে আয়ত্ত করা যায় সহজেই )
    ৪. ট্রেকিং পোল ব্যবহার করলে , সেটা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটা মেনেই ব্যবহার করা উচিত।
    ৫.অবতরণের সময় পা এবং পায়ের আঙ্গুল কিভাবে ফেলতে হবে সেটা আয়ত্ত করা। অনেকগুলো টেকনিক আছে সেগুলো ফলো করলে পেশি ক্লান্ত থাকলেও আগের থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।

    লিখেছেনঃ Travel with Ozil